চিংড়ি শুটকি দিয়ে ভর্তা (সহজ চিংড়ি ভর্তা)

আমাদের প্রতিবেশী বরিশাল থেকে এসেছেন, এখনো উনাদের বরিশালের সাথে বেশ ভাল সম্পর্ক, বরিশাল থেকে উনারা এটা সেটা নিয়ে আসেন বা এসে থাকে। উনারা নুতন কিছু নিয়ে এলে আমাদেরও কিছু দিয়ে থাকেন, সেজন্য আমরা মাঝে মাঝে বরিশালের নানান পদের খাবার দাবার দেখতে পাই। কয়েকদিন আগে দুই পদের শুঁটকি দিয়েছেন, একটা হচ্ছে ছোট চিংড়ি শুঁটকি এবং অন্যটা হচ্ছে ছোট পুঁটি মাছের শুঁটকি। এত ছোট চিংড়ি কি ধরা হয় এবং তা দিয়ে কি করে শুঁটকি বানানো হয় তা রীতিমত গবেষনা করার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।

এই ছোট চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে বরিশালে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া হয়। কাঁচা মরিচ বা শুকনা মরিচ দিয়ে এই শুঁটকি বানানো হয়ে থাকে। খেতে বেশ স্বাদের হয়েছিল, আসলে এই ছোট চিংড়ি গুলো এমনিতেই ভেঁজে খাওয়া যেতে পারে, দারুন ঘ্রান এবং চিংড়িতেই সব স্বাদ। চলুন দেখে ফেলি।

উপকরণঃ (অনুমান আপনি নিজেও করতে পারেন)
– কিছু ছোট চিংড়ি শুঁটকি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ (ঝাল বুঝে)
– মাঝারি দুইটা পেঁয়াজ
– ধনিয়া পাতা কুঁচি (কয়েক চামচ)
– লবন (পরিমান মত)

প্রনালীঃ

ছোট চিংড়ি গুলো কড়াই গরম করে শুকনা ভেঁজে নিতে হবে।


একই কড়াইতে কয়েকটা কাঁচা মরিচ সামান্য তেল দিয়ে ভেঁজে নিন।


মরিচ ভাঁজতে সাবধানতা নিতে হবে, ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে, নতুবা মরিচ ফুটে শরীরে বা চোখে লাগতে পারে। এই ধরনের ভাঁজাতে সব সময়ে সাবধানতা নিতেই হয়। আর লক্ষ রাখতে হবে যে পুড়ে না যায়!


এবার একে একে পাটা পুতায় বাটা শুরু করতে হবে, প্রথমে ভাঁজা চিংড়ি। সব কিছু বেশি মিহি করে বাটতে হবে তা নয়! কেন রকমে হলেই হল, এটাই ভর্তার স্টাইল!


পেঁয়াজ লবন।


ধনিয়া পাতা।


এবার ভাল করে মলে মেখে নিতে হবে। লবন স্বাদ দেখুন, লাগলে দিন।


ব্যস, হয়ে গেল চিংড়ি ভর্তা। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।

সাদা গরম ভাতের সাথে পরিবেশন যোগ্য, শুনেছি অনেকে পোলাউ এর সাথেও এই ভর্তা খেয়ে থাকেন। খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না! তবে আমার এই ভর্তা গরম ভাতের সাথে মাছের ঝোলের মিলিয়ে তাতে এই ভর্তা মেখে খেতে খুব ভাল লেগেছে এবং এই ধরনের ভর্তা খাবার অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এটা বলছি। আমি ভুল বললাম কি না তা আপনি টেষ্ট করে দেখতে পারেন। আশা করছি এই চিংড়ি পেলে এই সহজ ভর্তাটা বানিয়ে দেখবেন।

One thought on “চিংড়ি শুটকি দিয়ে ভর্তা (সহজ চিংড়ি ভর্তা)”

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

mahbub